১। তরুণেরাই গড়বে ডিজিটাল বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করার মহা-পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়ে তৃতীয়বার দেশ পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তিশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সক্ষম হওয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে একেরপর এক পুরষ্কার প্রদান করছেন। কঠোর মনিটরিং ও প্রগতিশীল চিন্তা চেতনা প্রয়োগে বাংলাদেশের উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে। বিশ্বের দরবারে ডিজিটাল জয়ের আলোকিত বাংলাদেশ ‘রোল মডেল’ হিসেবে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে স্থান অর্জন করছে। সমস্ত অর্জ এবং অর্জিত উন্নয়ন দেশের তৃণমুল পর্যায়ে প্রচার করার লক্ষ্যে তরুণ শ্রেণিকে ঐক্যেবদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
২। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। জাতি যত শিক্ষিত হবে দেশ তত উন্নত হবে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারীদল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলেই শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। বাণীটি চিরন্তন সত্য। শুধু তাই নয় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিল্প বাণিজ্য, নিরাপত্তা, যোগাযোগ, বৈদেশিকসহ অন্যান্য বিভাগে ব্যাপক উন্নয়নের পাশা-পাশি জাতির আশা আকাংঙ্খা আজ পুরণের পথে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আশা আকাংঙ্খা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বের দরবারে আত্মমর্যাদাপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তিশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।
৩। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাস মরনপণ যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালে বাঙ্গালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হয়। সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও পরিকল্পনাগুলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ যথাযোগ্য মর্যাদায় সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রচার করাই হবে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
৪। জাতির পিতার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির-৬ দফা, ঊনসত্তরের-১১ দফা, গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত সেদিন থেকে শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বীরমুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনেন। জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। বাঙ্গালি জাতির এই বীরত্ব ও দেশাত্মবোধ বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ উল্লেখিত বিষয়গুলো ধারন করে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে অনেক দূর পথ চলার লক্ষ্যে নতুন করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায়।
৫। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এই জঘন্য হত্যা কান্ডের মধ্যে দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারী করে বঙ্গন্ধুর হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ‘ল’ জারীর মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে, অবৈধ সরকার গঠন করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। এখন যেন স্বাধীনতা বিরোধীরা পূর্বের ন্যায় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে না পারে সেই লক্ষ্যে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ সৈনিকেরা অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করতে চায়।
৬। বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা বোনকে যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। বীরমুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক- সমর্থক সহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে সামনে চলার পথ মজবুত ও শক্তিশালী করতে চায়।
৭। স্বাধীনতার পরবর্তীতে স্বাধীনতা রক্ষায় বিভিন্ন আন্দোলনে যেমন ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার পতন, ১৯৯৬ সালে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের অসহযোগ আন্দোলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবং যাঁরা উক্ত কর্মসূচীতে আহত, নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন গোটা বাংলাদেশ ব্যাপী তাদের তথ্য সংগ্রহ করে পুস্তক আকারে প্রকাশ করা এবং ঐসব ব্যক্তিবর্গকে ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদের আওতায় জাতীয়ভাবে পুরষ্কার প্রদান পূর্বক সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষে কর্মসূচীর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
৮। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় যে বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেগুলো যেমন: গণতন্ত্রের বিকাশ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, নারী শিক্ষার সম্প্রসারণ, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, কৃষির উন্নয়ণ, খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে গ্রাম-গঞ্জে, শহর-বন্দরে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে প্রচার করাই হবে অন্যতম উদ্দেশ্যে।
৯। সকলে সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়, জাতির পিতার ঘোষিত এই মুলমন্ত্রকে ধারন করে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
১০। আমাদের বিপুল মানবসম্পদ ও তথ্য প্রযুক্তির সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ আওতায় কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করে সম্পদে পরিণত করার জন্য সহযোগিতা প্রদান করবে।
১১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ, সফল রাষ্ট্র নায়ক, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার গণতন্ত্রের মানস কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং এই উপমহাদেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ (সুধা মিঞা) সুযোগ্য সন্তান তথা উত্তর বঙ্গের কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নাগরিক প্রযুক্তির কর্নধর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার শ্রেষ্ঠ কারিগর জনাব সজিব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের সমস্ত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ গবেষনার আলোকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাঁধে কাঁধ রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রচার করবে।
১২। জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা বোনকে যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক-সমর্থক সহ সর্বস্তরের জনগণকে যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ যথাযোগ্য মর্যাদায় তাদের সম্মান প্রদান করবে এবং মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবদানের ইস্যুগুলো যথাযাথভাবে প্রচার করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
১৩। কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষের ন্যায্য দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য যেমন কৃষকের উৎপাদন করা ফসলের ন্যায্য মুল্য পায় এবং উৎপাদিত ফসল দেশের চাহিদা মিটাইয়া আধুনিক সুযোগ সুবিধায় বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে সেই লক্ষ্যে পরিষদের উদ্যোগে মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও শ্রমের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটার বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ বিভিন্ন গবেষনার আলোকে সেমিনারের মাধ্যমে প্রচার চালাবে।
১৪। সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত, প্রতিবন্ধী, বিকলাঙ্গ, অন্ধ-বধির মানুষের ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ সাধ্যমতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতা তৈরী করবে।
১৫। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গরীব ও মেধাবী শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা উপকরন এবং বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করবে।
১৬। উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে শিক্ষিত ও বেকার যুবক ও যুবতীদেরকে কর্মমুখী করার জন্য কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সহযোগিতা করা।
১৭। দারিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য- স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক স্যানিটেশন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।
১৮। সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই পরিষদের আওতায় সরকার ও অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা কে কাজে লাগিয়ে আত্ম কর্মসংস্থানে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের সম্পদে পরিনত করার কর্মমূখী প্রশিক্ষন গ্রহণ করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
১৯। উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর রংপুর বিভাগটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক গ্যাস লাইন স্থাপনের ব্যবস্থা করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি শিল্প এবং শিল্পাঞ্চল তৈরিতে বিভিন্ন দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে গ্যাস লাইন বিদ্যুৎ, শিল্পায়ন ও প্রযুক্তি নির্ভর অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষে দাবী আদায়ে সচেষ্ট থাকবে।
২০। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চেতনায় বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক উন্নত রাষ্ট্রে রুপান্তরীত করা এবং জাতীয় পরিকল্পনাসমূহ যথাযথভাবে প্রচারসহ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা।
২১। উগ্র জঙ্গিবাদ দেশ ও সমাজে আজ আনা-গোনা করছে। উগ্র জঙ্গিবাদের কারনে বহিঃবিশ্বে দেশ ও জাতির মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, গণতন্ত্রের মানস কন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা উগ্র জঙ্গিবাদ, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ কঠোর হাতে দমনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উগ্র জঙ্গিবাদের অবসান ঘটিয়ে ধর্ম নিরাপেক্ষতা দেশ ও সমাজ গঠনের স্লোগান প্রচারের মাধ্যমে প্রযুক্তিশীল উন্নত অর্থনৈতিক দেশ গঠনের অংশিদারিত্ব করতে তরুণ শ্রেণীকে উক্ত পরিষদের পতাকতলে শপথ নেওয়ার লক্ষে কাজ করবে।
২২। ধর্মান্ধ স্বাধীনতা বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভুতি ভুল পথে পরিচালিত করে জঙ্গিরা নিজেদের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চায়। বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশে সর্তকতা অবলম্বন জরুরী এবং সারাবিশ্বের মুসলমানদের বিপদগ্রস্থ করে ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী কি অর্জন করতে চাইছে, কোন গোষ্ঠী ভ্রান্তপথে পরিচালিত করতে না পারে সে জন্য আমাদের দেশে ধর্মীয় নেতাদের একইভাবে সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার লক্ষ্যে দেশ ও সমাজে প্রচারের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ ব্যাপক উদ্দোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
২৩। সজীব ওয়াজেদ জয় কে বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী পেশাজীবি, কর্মজীবি, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে সেমিনারের মাধ্যমে তুলে ধরতে এই পরিষদের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় পরিষদসহ জেলা, মহানগর, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিষদ থাকবে।
২৪। কৃষি নির্ভর গ্রামীণ অবকাঠামো যতো শক্তিশালী হবে তত দেশ অন্যান্য দেশের ন্যায় অর্থনৈতিক শক্তিশালী হবে। দুর্নীতি-ঘুষ দেশ ও সমাজের মহাব্যাধি, দেশের সু-শাসন প্রতিষ্ঠার যে মহা পরিকল্পনা ঘোষনা দিয়েছেন সেই তারুণ্যের প্রতীক ‘সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়’ প্রযুক্তিশীল দেশ ও সমাজ গঠনের জন্য দেশ থেকে ঘুষ-দুর্নীতি শব্দ পরিবর্তনের সেই সু-বাতাস লক্ষ করা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা যতই থাকুক না কেন অর্থের সঠিক ব্যবহার করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্ব-নির্ভরশীল বাংলাদেশ গঠন করে বিশ্বের দরবারে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে মাথা উঁচুকরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। সর্বক্ষেত্রে সৎ ও যোগ্য দেশ প্রেমিকে নেতা-নেত্রী, নির্বাচিত করার লক্ষে এবং মুক্ত মানুষের মতামত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’।
২৫। এই পরিষদের আওতায় ঈদগাহ মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় সংস্কারের জন্য সাধ্য অনুযায়ী আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করবে।
২৬। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত সমাজের দারিদ্র পীড়িত সাধারণ মানুষের মাঝে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করা এবং শীতকালীন সময়ে শীতবস্ত্র বিতরণের ব্যবস্থা করা।
২৭। সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশ সাধন এবং বিপুল মানব সম্পদকে এর ব্যবহারের আওতায় এনে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় ভাবে গৃহীত উদ্যোগে সমূহকে কাজে লাগিয়ে সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গণতন্ত্রের মানস কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১’ মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সহযোগিতা প্রদানে লক্ষ্যে তরুণ শ্রেণীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উৎসাহিত করে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।