গঠনতন্ত্র সংশোধন

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ এর গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন করার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ একটি উপ পরিষদ গঠন করবে। উপ-পরিষদ কর্তৃক গৃহীত খসড়া সুপারিশসমূহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে আলোচিত হওয়ার পর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবনা সমূহ পরবর্তী কাউন্সিলে উপস্থিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাশ করানোর পর গঠনতন্ত্র চূড়ান্তভাবে সংশোধিত হবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ এর গঠনতন্ত্রের কোন বিষয় সুস্পস্টভাবে উল্লেখ না থাকলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৎবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন, প্রয়োজনে উপদেষ্টা ও সভাপতি মন্ডলীর পরামর্শ গ্রহণ করবে।
৮।

(ক) জাতীয় সম্মেলন
প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সংস্থা হবে জাতীয় সম্মেলন। ৫ বছরে ন্যূনতম একবার জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত ৬০ দিনের এবং জরুরী অবস্থায় ৩০ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করবে। বিশেষ প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতির নির্দেশক্রমে সাধারণ সম্পাদক সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের প্রেক্ষিতে সম্মেলনের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করবেন। জেলা সম্মেলনে জাতীয় সম্মেলনের প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
বিশেষ কোনো কারণে জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে না পারলে জেলা পরিষদ বা জেলায় সদস্যদের প্রতিনিধি স্থানীয় সভায় জাতীয় সম্মেলনের প্রতিনিধি নির্বাচন করা যাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ জাতীয় সম্মেলনে পর্যবেক্ষক অনুমোদন ও মোট প্রতিনিধি সংখ্যার সর্বাধিক ৫% প্রতিনিধি মনোনিত করতে পারবে। জাতীয় পরিষদের সদস্যগণ জাতীয় সম্মেলনের প্রতিনিধি হবেন।
ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং মৌলিক নীতি-নির্ধারণসহ সকল বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ অধিকারী হবে জাতীয় সম্মেলন।

(খ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ
জাতীয় সম্মেলন একটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১১১ জন পর্যন্ত হবে। জাতীয় সম্মেলন অথবা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে থেকে সংগঠনের ৬৫ জন পর্যন্ত কর্মকর্তা নির্বাচন করবে। কর্মকর্তাদের মধ্যে সভাপতি, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য (১০ জন), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (৫ জন), সাংগঠনিক সম্পাদক (৮জন) অর্থ, প্রচার, প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক, দপ্তর, সমাজকল্যাণ, ক্রীড়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সম্পাদক থাকবে এবং সদস্য ৪৬ জন।
ঢাকাস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও সাধরন সম্পাদক সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগীয় দায়িত্ব বন্টন করবে এবং কাজ নির্দিষ্ট করে দেবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনে নতুন বিভাগ গঠন করতে পারবে। কাজের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ বিভিন্ন বিভাগীয় উপ-পরিষদ গঠন করতে পারবে।

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ তার কার্যাবলীর জন্য জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় পরিষদের কাছে দায়ী থাকবে। জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় পরিষদের গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকরী করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের। ২ মাস পর পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা বসবে। জরুরী অবস্থায় যে কোনো সময় সভা আহ্বান করা যাবে। সাধারণ অবস্থায় ১০ দিনের এবং জরুরী অবস্থায় ৩ দিনের নোটিশে সভা আহ্বান করা যাবে। গঠনতন্ত্রে উল্ল্যেখ নেই এমন বিষয়ে অথবা গঠনতন্ত্রের কোনো ধারার ব্যাখ্যা প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কিন্তু গঠনতন্ত্র সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ যে কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার অধিকার জাতীয় সম্মেলনের। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ কাল হবে ৫ (পাঁচ) বছর। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ তার সকল কাজ অনুমোদনের জন্য জাতীয় পরিষদের পরবর্তী সভায় পেশ করবে।

(গ) জেলা পরিষদ
জেলা পরিষদ জেলায় সংগঠনের কাজকর্ম পরিচালনা ও সমন্বয় সাধন করবে। জাতীয় সম্মেলন ও জাতীয় পরিষদে গৃহীত কর্মসূচি ও সিদ্ধান্ত সমূহ জেলায় কার্যকরী করার মূল দায়িত্ব জেলা পরিষদ ওপর ন্যস্ত থাকবে। জেলা সম্মেলনে জেলা পরিষদ নির্বাচিত হবে। পরিষদ সদস্য সংখ্যা ৬১ জন পর্যন্ত হতে পারবে।
জেলা সম্মেলনের প্রতিনিধি সংখ্যা জেলা পরিষদ নির্ধারণ করবে। প্রতিনিধিরা থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখা থেকে নির্বাচিত হবে। জেলা পরিষদের কর্মকর্তা নির্বাচন পদ্ধতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুরূপ হবে। জেলা পরিষদ কর্মকর্তা ৩১ জন পর্যন্ত হবে। তবে জেলা পরিষদ আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদটি প্রযোজ্য হবে না এবং সভাপতিমন্ডলীর স্থলে সহ-সভাপতি হবে। কর্মকর্তাদের কাজ ও বিভাগীয় দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তা ও বিভাগসমূহের অনুরূপ হবে।
জেলা পরিষদের ২৪জন পর্যন্ত কর্মকর্তা জেলা সদরে অবস্থান করবেন। যারা জেলা সম্পাদকমন্ডলী হিসেবে সংগঠনের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম পরিচালনা করবেন। প্রতি দেড় মাসে অন্তত একবার জেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত ৭ (সাত) দিনের নোটিশে এবং জরুরী অবস্থা ২ (দুই) দিনের নোটিশে জেলা পরিষদের সভা আহ্বান করা যাবে। জেলা পরিষদের মেয়াদ কাল হবে ৩ (তিন) বছর।

(ঘ) মহানগর পরিষদ
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ প্রত্যেক মহানগরের (উত্তর-দক্ষিণ) একটি করে মহানগর পরিষদ থাকবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহানগর পরিষদ মনোনীত হবে এবং জেলা পরিষদের মর্যাদা ভোগ করবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ মহানগর পরিষদ গঠন ও বিলুপ্তি করতে পারবে। মহানগর পরিষদের মেয়াদ কাল হবে ৩ (তিন) বছর।

(ঙ) বৈদেশিক পরিষদ
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ নীতি, আদর্শ, লক্ষ তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষনাপত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে বিভিন্ন দেশে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী প্রবাসে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ শাখা গঠন করতে পারবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সকল বৈদেশিক শাখাকে অনুমোদন প্রদান করবে। প্রত্যেকটি রাষ্ট্র কাঠামোর আওতায় জেলা পরিষদের মর্যাদাসম্পন্ন একটি করে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ শাখা গঠন করা যাবে। বৈদেশিক পরিষদের গঠনকাঠামো জেলা পরিষদের গঠনকাঠামোর অনুরুপ হবে। বৈদেশিক পরিষদের মেয়াদ কাল হবে ৩ (তিন) বছর।

(চ) থানা/উপজেলা পরিষদ
থানা/উপজেলা পরিষদ থানার সর্বত্র পরিষদের কাজের সমন্বয় সাধন করবে। থানা/উপজেলা সম্মেলন থানা/উপজেলা পরিষদ নির্বাচিত করবে। পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৫১ জন পর্যন্ত হতে পারবে। থানা/উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের মধ্যে সভাপতি, ৫ (পাঁচ) জন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন বিভাগীয় সম্পাদকবৃন্দ থাকবেন। থানা/উপজেলা সম্মেলনের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে প্রাথমিক শাখা। প্রতি মাসে ন্যূনতম একবার থানা/উপজেলা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণভাবে ৩ (তিন) দিনের এবং জরুরী অবস্থায় ১ (এক) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। থানা/উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হবে ৩ (তিন) বছর।

(ছ) ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পরিষদ
প্রাথমিক শাখাসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হবে। পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ জন পর্যন্ত হতে পারবে। পরিষদ নিজেদের মধ্য থেকে কর্মকর্তা নির্বাচিত করবে। সাধারণত ২ দিনের এবং জরুরী অবস্থায় ১২ ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে পরিষদের সভা আহ্বান করা যাবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ৩ (তিন) বছর।

৯. বিষয় নির্বাচনী পরিষদ
পরিষদের বিভিন্ন স্তরে যে সকল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে তার সকল প্রস্তাব একটি বিষয় নির্বাচনী পরিষদের মাধ্যমে পেশ করতে হবে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বিষয় নির্বাচনী পরিষদের নির্বাচিত হবে।

১০. পরিষদের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব

(ক) সভাপতি
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সভাপতি, পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিসাবে গণ্য হবেন। তিনি জাতীয় সম্মেলন, জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদ ও সম্পাদক মন্ডলীর সভায় সভাপতিত্ব করবেন। পরিষদের স্বার্থে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে উদ্দোগ গ্রহন করবেন এবং পরিষদের স্বার্থ-সংরক্ষনে যত্মবান হবেন। কার্যনিবাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করবেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সভা আহবান করার জন্য সাধারন সম্পাদকে নির্দেশ প্রদান করবেন। সাধারন সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ে সভা আহবান না করলে সভাপতি নিজেই সভা আহবান করতে পারবেন এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের সম্মতিতে পরিষদের প্রয়োজনীয় যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন।

(খ) সভাপতিমন্ডলী/সহ-সভাপতি
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি ব্যক্তিগত কারণে ৩০ দিনের বেশি পরিষদের কাজে অনুপস্থিত থাকলে সভাপতির নির্দেশে উক্ত সময়ের জন্য একজন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য/সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হবেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে বিভাগীয় দায়িত্ব বন্টন করতে পারবে।

(গ) সাধারণ সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সভা আহ্বান করবেন। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করবেন এবং সংগঠনের কাজকর্ম সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত রাখবেন। তিনি সংগঠনের কাজের সমন্বয় সাধন এবং বিভিন্ন কাজে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

(ঘ) যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সাধারণ সম্পাদকের কাজে সহায়তা করবেন এবং সাধারন সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত কারণে ১৫ দিন দিনের বেশী পরিষদের কাজে অনুপস্থিতি থাকলে কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদের সভাপতির পরামর্শক্রমে একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

(ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ বিভিন্ন স্তরে/পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন ও অনুরুপ কার্যাদি সম্পন্ন করিবেন। নিজ নিজ আওতাভূক্ত সাংগঠনিক এলাকায় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে সাংগঠনিক সম্পাদকগন দায়িত্ব পালন করবেন।

(চ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে পরিষদের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির ব্যাপক প্রচার এবং পরিষদের সকল প্রকার প্রকাশনার গ্রন্থনা ও প্রচারনার দায়িত্ব পালন করবেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।

(ছ) দপ্তর সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ দপ্তর সম্পাদক সভার কার্যবিবরনী লিপিবদ্ধ করবেন। তাছাড়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষন এবং দপ্তর সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যাদি পরিচালনা করবেন এবং পরিষদের ফ্যাক্স, ই-মেইল ও ওয়েবসাইট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।

(জ) অর্থ বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অনুমতিক্রমে পরিষদের আয়-ব্যয়ের সকল হিসাব সংরক্ষন, পরিচালনা ও আর্থিক বিষয়ক অন্যান্য কার্যাবলী অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সম্পন্ন করবেন। তাঁকে কার্যকাল শেষে সম্মেলনে মোট আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করতে হবে। সভাপতি/সাধারন সম্পাদকের যে কোন একজনের সাথে যৌথ স্বাক্ষরে তিনি পরিষদের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।

(ঝ) তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
তথ্য ও প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনাময় এই বাংলাদেশের সকল প্রান্তে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশ, প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এর বিকাশ প্রসারের সর্বময় সহযোগিতা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’’ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের প্রধান কাজ।

(ঞ) তথ্য-গবেষনা ও পাঠাাগার বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ তথ্য-গবেষনা ও পাঠাাগার বিষয়ক সম্পাদক দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক, অর্থনেতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়াবলি সংক্রান্ত তথ্য, পরিষদের পাঠাগার পরিচালনাসহ পুস্তিকাদি সংগ্রহ ও সংরক্ষন করবেন এবং অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদককে তিনি তা গবেষনা ও প্রয়োজনীয় কাজে সরবরাহ করে সহায়তা করবেন।

(ট) আইন বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ আইন সংক্রান্ত কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে আইন বিষয়ক সম্পাদক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করে তা নিরসনের উদ্যোগ নিবেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ কোন সদস্য/ কর্মকর্তা রাজনৈতিক কারনে কারারুদ্ধ, হুলিয়াপ্রাপ্ত, মামলার সম্মখীন হলে পরিষদকে প্রয়োজনীয় আইনগত পরামর্শ ও সহায়তাদান করাই হবে আইন বিষয়ক সম্পাদকের প্রধান দায়িত্ব এবং এতদসংক্রন্ত নথিপত্র তিনি সংরক্ষন করবেন।

(ঠ) শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ণ বিষয়ক সম্পাদক
মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও মনোন্নয়নসহ শিক্ষামূলক সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করা এবং সমাজের প্রয়োজনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সর্বজনীন, সুলভ ও প্রযুক্তিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ববান হওয়াই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ড) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদের লক্ষ্য ও উদেশ্যের বাস্তবায়ন, অন্যান্য জাতীয় ঐতিহ্য এবং সাফল্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, মানবাধিকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও সর্ম্পক-উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ঢ) স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ আওতায় সুস্থ দেহ-সবল মন এই অঙ্গীকার থেকে জনগনের মাঝে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনকল্পে গনসচেতনাতা সৃষ্টি এবং গনমানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কাজ করবে।

(ণ) যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ স্বীকার করে যে, যুব শ্রেনীই দেশের মূল প্রাণশক্তি। ক্রীড়া যোগায় শক্তি ও সাহস আর ভ্রাতৃত্ববোধকে করে তোলে সুদৃঢ়। দেশের যুবশ্রেনীকে সুসংগঠিত এবং ক্রীড়াঙ্গনে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ক্রীড়ামোদীদের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি করাই যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ত) সমাজকল্যাণ সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ আওতায় সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করাই সমাজকল্যাণ সম্পাদকের প্রধান দায়িত্ব। তিনি দায়িত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ন বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহন করবেন।

(থ) জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়ন এবং সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যুব শ্রেণিকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরপূর্বক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(দ) কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক দেশের অবহেলিত কৃষকদের ন্যায়সংগত অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, কৃষির উন্নয়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন এবং কৃষক শ্রেনীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমবায় পদ্ধতি সহ সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করাই কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ধ) পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
পৃথিবী নামক এই গ্রহকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে পরিবেশ দূষন রোধ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার নিমিত্তে সামাজিক বনায়ন সম্প্রসারণ, প্রানী-বৈচিত্র্য রক্ষাসহ পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য কাজ করাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ন) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
তথ্য ও প্রযুক্তির অমিত শক্তির এই যুগে আধুনিক বিশ্বের সাথে সমান তালে আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারকে উৎসাহিত করবেন।

(প) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
বাঙলা ও বাঙালী’র হাজর বছরের ঐতিহ্য লালিত আবহমান কৃষ্টি, সভ্যতা, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতির বিকাশ নিশ্চিতকরন এবং জীবনবিমুখ, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ন ও অপসংস্কৃতি প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন, দেশের আদিবাসী ও উপজাতীয় জনগণের জীবনধারা, ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষন ও বিকাশ সাধনে প্রয়াস চালানোই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ফ) ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দৈব দুর্বিপাকে বিপন্ন মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা,ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির, কর্মশালা প্রভৃতির আয়োজন করা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(ব) শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব হবে দেশে আধুনিক শিল্পের বিকাশ, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

(ভ) মহিলা বিষয়ক সম্পাদক
নারী নির্যাতন বন্ধ, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সুনিশ্চিত করে নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশ ও সমাজ গঠনে নারীর সর্ম্পক্ততা বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।

(ম) ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক
“ধর্ম রাষ্ট্রের নয়-ব্যক্তির”, “ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়” এ লক্ষ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগযোগ রক্ষা করা, সকল ধর্মের মানুষকে ধর্মীয় কাজে সহযোগীতা করাসহ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিলোপ সাধনে সচেষ্ট থাকা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।

(য) সহ-সম্পাদক
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ সহ-সম্পাদকগণ স্ব-স্ব বিভাগের সম্পাদককে বিভাগীয় কার্য পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা করবেন এবং সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তারা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

(চ) সদস্য
সদস্যগন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদের গুরুত্বপূর্ন ও জরুরী প্রয়োজনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন।

(ছ) কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলী
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদের’ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অন্যান্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের সহযোগীতায় পরিষদের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম পরিচালনা করবেন। পরিষদের নীতি-নির্ধারণের ব্যাপারে সম্পাদকমন্ডলীর কোনো ক্ষমতা থাকবে না। কিন্তু বিশেষ জরুরী প্রয়োজন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি
এক-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকলে তা কোরাম হিসেবে ধরা হবে। সাধারণ সংখ্যাধিক্যের মতকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

তলবি সভা
জাতীয় পরিষদ বা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বানের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে সংগঠনের সভাপতির কাছে দাবি জানালে সভাপতি অনুরূপ লিখিত দাবি পাওয়ার ২১ দিনের মধ্যে সভা আহ্বানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ প্রদান করবেন।

জাতীয় সম্মেলনের এক-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি সম্মেলন আহ্বানের জন্য লিখিতভাবে সভাপতির কাছে দাবি জানালে সভাপতি অনুরূপভাবে লিখিত দাবি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সভা আহ্বানের জন্য সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ প্রদান করবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক সভা/সম্মেলন আহ্বান না করলে সভাপতি নিজেই তা আহ্বান করবেন। নিম্নতম পরিষদসমূহের ক্ষেত্রেও এক-তৃতীয়াংশ সদস্য দাবি করলে তলবি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৩. পদত্যাগ ও শূন্য আসনে নির্বাচনে
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ থেকে কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য পদত্যাগ করলে সংশ্লিষ্ট পরিষদের সভায় তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কোনো পদ শূণ্য থাকলে বা শূন্য হলে সংশ্লিষ্ট পরিষদের ঊর্ধ্বতন পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন কর্মকর্তা বা সদস্য অর্ন্তভূক্ত করতে পারবে।

১৪. শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
কোন সদস্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র, কর্মসূচি ও সংগঠনের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করলে সংশ্লিষ্ট পরিষদ অভিযোগ তদন্ত করে উচ্চতর পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। কোনো সদস্য সংগঠনের সাংগঠনিক স্বার্থ ক্ষুন্ন করে এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নিলেও সংশ্লিষ্ট পরিষদ ওই সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে সংগঠন থেকে বহিষ্কার। লঘু শাস্তি হিসেবে অব্যাহতি, সাময়িক অব্যাহতি, সতর্কীকরণ ইত্যাদি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সকল অভিযুক্তেরই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কমিটির কাছে আপিল করা যাবে এবং নিম্নতম পরিষদ ঊর্ধ্বতম পরিষদ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন ও মূল্যায়ন করবেন। নিম্নতম পরিষদ ঊর্ধ্বতন পরিষদের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না। যে কোন জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
১৫. সংগঠনের তহবিল ও আয়-ব্যয়ের হিসাব
পরিষদের সদস্যদের চাঁদা, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা ও অনুদানের ভিত্তিতে পরিষদের তহবিল গঠিত হবে। চাঁদা ও অনুদান থেকে নির্দিষ্ট হারে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশেষ প্রয়োজন বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে। (অবশ্যই কুপনের মাধ্যমে)। দেশী বিদেশী কোন সংস্থা বা সুভাকাঙ্খী যদি পরিষদের তহবিলে কোন অনুদান দিতে ইচ্ছুক হয় তবে তা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের তহবিলে জমা হবে।

১৬. জেলা পরিষদের মর্যাদা
রাজধানী ঢাকা মহানগর পরিষদ সম্ভবমতো সকল বিভাগীয় সদরের নগর কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে জেলা পরিষদের মর্যাদার অধিকারী হবে।

১৭. ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবেঃ

(ক) ১০ই জানুয়ারি (১৯৭২)ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
(খ) ১৬ই ফেব্রুয়ারি (১৯৪২) ঃ ড. এমএ ওয়াজেদ (সূধা মিঞা) জন্ম দিবস।
(গ) ২১শে ফেব্রুয়ারি (১৯৫২) ঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস।
(ঘ) ৭ই মার্চ (১৯৭০) ঃ স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দিবস।
(ঙ) ৮ই মার্চ (২০১৪) ঃ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ জয় পরিষদ’ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
(চ) ১৭ই মার্চ (১৯২০) ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস।
(ছ) ২৬শে মার্চ (১৯৭১) ঃ মহান স্বাধীনতা দিবস।
(জ) ১৭ই এপ্রিল (১৯৭১) ঃ মুজিব নগর দিবস।
(ঝ) ১লা মে (১৮৮৬) ঃ মহান মে দিবস।
(ঞ) ১লা মে (১৯৮০) ঃ (সুজন কুমার সরকার) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (জন্ম দিবস)
(ট) ৯ই মে (২০০৯) ঃ ড. এমএ ওয়াজেদ (সূধা মিঞা) মৃত্যু দিবস।
(ঠ) ২৭ জুলাই (১৯৭১) ঃ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম দিবস।
(ড) ১৫ই আগষ্ট (১৯৭৫) ঃ জাতীয় শোক দিবস।
(ঢ) ২৮ সেপ্টেম্বর (১৯৪৭) ঃ শেখ হাসিনার জন্ম দিবস।
(ণ) ১০ অক্টোবর ১৯৭৮ ঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (সন্জু) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির জন্ম দিবস।
(ত) ১৮ অক্টোবর (১৯৬৪) ঃ শেখ রাসেলের জন্ম দিবস (জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস)।
(থ) ৩রা নভেম্বর (১৯৭৫) ঃ জেল হত্যা দিবস।
(দ) ১০ই নভেম্বর (১৯৮৭) ঃ শহীদ নূর হোসেন (বাবুল) দিবস।
(ধ) ১৪ই ডিসেম্বর (১৯৭১) ঃ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস।
(ন) ১৬ই ডিসেম্বর (১৯৭১) ঃ জাতীয় ও বিজয় দিবস।